চট্টগ্রাম উত্তর জেলার মানববন্ধনে – অধ্যক্ষ আল্লামা জুবাইর
ভারতে কোরআনের আয়াত পরিবর্তনে রিট ও শ্রীলংকায় নারী পর্দা নিষিদ্ধ করার মত নিন্দনীয় ঘটনা উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক হানাহানি ছড়িয়ে দেবে।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল ইসলাম জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন-সম্প্রতি ভারতে পবিত্র কোরআনের আয়াত পরিবর্তনে রিট ও শ্রীলংকায় নারী পর্দা নিষিদ্ধকরণের ঘটনায় ক্রমাগত ফুঁসে উঠছে মুসলিম বিশ্ব। এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ কোনভাবেই থামছে না। ভারতে কোরআনের আয়াত পরিবর্তনে রিট ও শ্রীলংকায় নারী পর্দা নিষিদ্ধ করার মত নিন্দনীয় ঘটনা উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক হানাহানি ছড়িয়ে দেবে বলে আশংকা প্রকাশ করে তিনি বলেন-ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে 1500 বছর ধরে অব্যাহত রকমারী ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মুসলমানরা রক্তমূল্যে প্রতিহত করেছে। কোন অবাঞ্ছিত ষড়যন্ত্র মুসলমানদের ঈমানী চেতনাকে থমকে দিতে পারেনি। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো,বিশ্ব পরিমণ্ডলে ইসলাম আজ কেবল একটি ধর্ম হিসেবেই নয়, বরং তার অনুপম আদর্শ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে ঐশীগ্রন্থ পবিত্র কোরআনুল করিম সম্পর্কে আঙ্গুল তুলতে অনেক বিজ্ঞানী,গবেষক কতই না অপচেষ্টা করেছে। অথচ এক্ষেত্রে সফল হওয়া তো দুরের কথা বরং সকলেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে এ মহাগ্রন্থের বশ্যতা স্বীকারে বাধ্য হয়েছে। এ পবিত্র ঐশিগ্রন্থ কস্মিনকালেও পরিবর্তনযোগ্য নয়। এটি মহাপ্রলয় পর্যন্ত অপরিবর্তিত,অম্লান ও অক্ষয় থাকবে। বিশ্ব ব্রম্মাণ্ডের স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালার ঘোষনা, এটি এমন একটি ঐশিগ্রন্থ, যেথায় কখনও পরিবর্তন-পরিবর্ধন কিংবা সংশোধন-বিয়োজন এর প্রয়োজন পড়বে না। অতএব জনৈক একজন ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক এ পবিত্র গ্রন্থের 26 টি আয়াত পরিবর্তনে উচ্চ আদালতে রিট এর বিষয়টি এক চরম ধৃষ্টতা বৈ আর কিছুই নয়। যা ঐ ভারতীয়ের ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী মনোবৃত্তির বহিঃপ্রকাশ। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি জাতিসংঘসহ ও আই সিকে সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপে এগিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারকে কৌশলী ভূমিকায় কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে এ গর্হিত কাজ থেকে নিবৃত্ত থাকতে ভারত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার আহবান জানান। বলেছেন-কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা কোনক্রমেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। যেকারণে এসব কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অহরহ ঘটছে, শিশু নির্যাতন,শিশু বলাৎকার এর মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা।কোমলমতি শিশুদের প্রহার-নির্যাতন কস্মিনকালেও শরিয়তসম্মত কিংবা আইনসিদ্ধ নয়। শিক্ষা বা শাসনের নামে এহেন অবাঞ্ছিত কর্মকাণ্ডের সাথে ইসলামের দুরতম সম্পর্ক নেই। যারা মাদ্রাসায় কোমলমতি শিশুদের বেধড়ক প্রহার করে তারা নিসঃন্দেহে কূপমণ্ডুক। ইসলামী জ্ঞান সম্পর্কে তাদের নুনতম ধারনাও নেই।এছাড়াও এসব কওমী প্রতিষ্ঠানসমূহ জঙ্গি ট্রেনিং সেন্টার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। গণমাধ্যমের এক তথ্যানুযায়ী দেখা যায়- গত তিন বছরে কাওমী মাদরাসায় ৮৩৪ টি বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে এবং বিগত ২০২০ সালে ঘটেছে ৩২৭ টি। যা একটি সভ্য দেশে কখনও মেনে নেয়া যায় না। অতএব এহেন ঘৃন্য কর্মকাণ্ডের অপনোদনে কওমী মাদ্রাসাসমূহকে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনা জরুরী।বলেছেন,- চাল,ডাল,তেল, ছোলা, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম আকাশচুম্বী। ক্রমাগত লাফাচ্ছে পণ্যমূল্য, যেন এক পাগলা ঘোড়া। স্বাভাবিক আচরণ হারিয়ে ক্রমশঃ অস্থির হয়ে উঠছে বাজার। যা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা বহির্ভূত হয়ে পড়েছে। ফলশ্রুতিতে নাগরিক জীবন ওষ্ঠাগত। প্রতি বছরই পবিত্র মাহে রমজান এর পূর্বে এরূপ দৃশ্যমান হয়। অধিক মুনাফালোভী একটি ব্যবসায়িক দুষ্টচক্র নাকি এহেন গর্হিত কাজের সাথে জড়িত। যারা পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট সৃষ্টির মাধ্যমে এ কৃত্রিম সংকট তৈরী করে। অপ্রত্যাশিতভাবে এরা নিত্যপণ্য অবৈধভাবে গুদামজাত করে। যৎকারণে ভিন্ন চেহারায় দৃশ্যমান হয় নিত্যপণ্যের বাজার। ফলশ্রুতিতে সাধারণের রোজা পালন খুবই কষ্টসাধ্য হওয়া ছাড়াও নানবিধ দুর্ভোগ ভোগান্তির কোন অন্ত থাকে না। অতএব, এখন থেকেই বাজারকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনতে হবে। জোরদার করতে হবে বাজার মনিটরিং। অবিলম্বে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে। অতঃপর এসব দেশদ্রোহীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যোগে ভারতে পবিত্র কোরআনের আয়াত পরিবর্তনে রিট, শ্রীলংকায় নারী পর্দা নিষিদ্ধকরণ, কওমী মাদ্রাসা সমূহে শিক্ষার্থী নিপিড়ন ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে চট্যগ্রাম প্রেসক্লাব সম্মুখস্থ চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ফরিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল ইসলাম জাতীয় নেতা অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-যুগ্মমহাসচিব এস.এম সিরাজ উদ্দিন তৈয়বী,কেন্দ্রীয় সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.মীর ফেরদৌস আলম সেলিম,উত্তর জেলা ইসলামিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি মাওঃ মমতাজ উদ্দিন হোসাইনী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন,ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি কাজী আহসানুল আলম,সহ-সভাপতি আবু ছাদেক ছিটু,ছাত্রনেতা আহমদ রেজা,প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্তিত ছিলেন,কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা খ.ম.জামাল উদ্দিন, বক্তব্য রাখেন,ফ্রন্ট নেতা আলহাজ্ব এস এম মাসুদ মেম্বার,একেমবি নেতা রেজাউল করিম, মুহাম্মদ হোসাইন, ফ্রন্ট নেতা রফিকুল ইসলাম,ছাত্রসেনা নগর সাধারণ সম্পাদক ইন্জিনিয়ার রাসেল,হাজী গিয়াস উদ্দিন,গিয়াস উদ্দিন হিরু, উত্তর জেলার সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খান,নাছির উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মিসবাহুল ইসলাম,মোরশেদ রেজা কাদেরী, আনোয়ার হোসেন রানা,আবু তৈয়ব,আমজাদ হোসেন,আলমগীর মাসুদ, হাফেজ ফোরকান, গোলাম হাসনাইন আসাদুজ্জামান, আব্দুল কাদের,ইমরান হোসেন,কাজী আসাদ প্রমুখ